December 22, 2024, 10:01 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন//
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন যে তার সরকার প্রতিটি জেলা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) স্থাপনের পদক্ষেপ নেবে।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ এপ্রিল জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনে এ কথা করেন।
তিনি আরও বলেন, কোভিড -১৯ কেসের চিকিত্সার জন্য বিশেষভাবে উন্নীত ইউনিট এবং হাসপাতালগুলি ধীরে ধীরে বিভিন্ন ব্যনস্থা দিয়ে উন্নীত করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা আশ্বস্ত করেন যে কোভিড -১৯ টেস্টিং কিটের কোনও অভাব নেই এবং দেশবাসীকে ধৈর্য সহকারে বর্তমান পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশের মানুষকে হতাশ না হতে এবং করোনভাইরাস সংকটের মুখোমুখি অনেক উন্নত দেশের দুঃখজনক অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাঁচ কোটি মানুষ সরকারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আসবে।
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। মসজিদে না গিয়ে ঘরে বসে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। বিশ্ববাসী যেন এই ভাইরাস থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। আল্লাহর শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি।
একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শনিবার বিকাল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে নিয়ম রক্ষার এই সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর প্রায় ২০৯টি দেশ আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। প্রতিনিয়ত মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। গত ডিসেম্বর থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখন থেকেই আমরা সতর্ক ছিলাম। যখনি আমাদের দেশে দেখা দেয় তখননি আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, কতদিন এই অবস্থা থাকবে তা কেউ বলতে পারছে না। সারা বিশ্বে কত শক্তিশালী দেশ, কত অস্ত্র কোনো কিছুই কাজে লাগলো না। একটা ভাইরাস চোখে দেখা যায় না। তার কারণে আজ সারা বিশ্ব স্থবির, সারা বিশ্বের মানুষ আজ ঘরে বন্দি। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেছি। কিন্তু স্বাস্থ্যে যে এমন ঝড় বয়ে যাবে তা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। পূর্বে আমাদের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করেছি। সব রকম ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। বিনা পয়সায় চিকিৎসা হচ্ছে। প্রত্যেকটি বন্দরে টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মানুষকে সচেতন করা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্যে যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।
Leave a Reply